হোস্টেল ক্যান্টিনের খাবার দাবার আমার ভাল লাগে না । মায়ের রান্নার সাথে কি এসব তথাকথিত ক্যান্টিনের মসলাহীন , স্বাদহীন খাবারের তুলনা চলে ?
কোথায় আগরতলা আর কোথায় চৌকির তলা ?
তাই আপাতত দুধের স্বাদ ঘোলে মেটাতে দিনে দুইবেলা আমি হোটেল আফতাবে গিয়ে খাওয়া দাওয়ার কাজ সারি ।
এখানকার রান্নাটা আমার মায়ের রান্নার প্রায় কাছাকাছি , কিন্তু সমতুল্য না ।
একদিন দুপুরে আফতাবে বসে ভুনা খিচুড়ি খাচ্ছি । বাইরে টিপটিপ বৃ...ষ্টি পড়ছে । কাচের জানালা দিয়ে বৃষ্টি দেখছি আর খিচুড়ি গিলছি । বৃষ্টিময় দিনে ভুনা খিচুড়ি খাওয়া আর স্বর্গে বসে বেহেস্তি খানা খাওয়া তো একই কথা ।
লক্ষ্য করলাম আমার পাশের টেবিলের কাস্টমার চটাস করে ছোট ওয়েটার ছেলেটাকে কষিয়ে থাপ্পর দিল ।
তরকারির বাটি টেবিলে রাখার সময় ছেলেটার হাত থেকে তরকারির বাটিটা ওই কাস্টমারের কোলে পড়ে যায় ।
ফলশ্রুতিতে গরম ঝোলের তপ্ত নিঃশ্বাসে মোস্ট প্রবাবলি তার অজ্ঞাত(!) কোন অঙ্গ সাময়িকভাবে আহত হয় !
চিৎকার চেঁচামেচি করে লোকটা সিনিয়র ওয়েটারকে ডাকল ।
সাতপাঁচ না ভেবে সিনিয়র ওয়েটারটা ওই ছেলেটাকে সজোরে ধাক্কা মারল । ধাক্কা খেয়ে ছেলেটা টেবিলে আছড়ে পড়ল ।
ফলশ্রুতিতে টেবিলে রাখা দুটো গ্লাস মেঝেতে পড়ে ভেঙ্গে গেল ।
অপমান , অভিমান , রাগ কিংবা হতাশায় ছেলেটার চোখ টকটকে লাল হয়ে গেল, লক্ষ্য করলাম ।
কাচ ভাঙ্গার শব্দে ক্যাশে বসা ম্যানেজারের টনক নড়ল ।
তৎক্ষণাৎ ঘটনাস্থলে গিয়ে ছেলেটাকে আরো দুটো থাপ্পর মেরে সে গ্লাস ভাঙ্গার প্রতিশোধ নিল ।
ছেলেটা চোখের কান্না আর আটকাল না।
লক্ষ্য করলাম ছেলেটার গাল বেয়ে টপটপ করে অশ্রু গড়িয়ে পড়ছে ।
আশেপাশের সব কাস্টমার ঘটনাটা সিনেমার মত দেখল আর গপগপ করে খাবার গিলল ।
সিনেমা দেখতে আমার খারাপ লাগে না , কিন্তু বাস্তবতার এই নিষ্ঠুর সিনেমা দেখে আমি কষ্ট পেলাম ।
হাত না ধুয়েই ছেলেটার কাছে গেলাম ।
জানলাম ছেলেটার নাম কাজল ।
জীবনের রঙ , স্বপ্নের রঙ কাজল কালো যার !
ছেলেটার হাত ধরে আমি চমকে উঠলাম ।
ভীষণ জ্বর ছেলেটার । মনে হল ১০২ ডিগ্রিরও উপরে ।
ভয়াবহ জ্বরে সে কাঁপছিল , তাই তার হাত থেকে গরম তরকারির বাটিটা পড়ে যায় ।
অবশ্য এসব ফকির মিসকিনদের জ্বরে কার কি আসে যায় ?
বরং , এদেরকে চড় থাপ্পর মেরে যদি একটু মজা পাওয়া যায়, তাহলে ক্ষতি কি ?
তাই পাবলিক তাকে যে চড় থাপ্পর মারল, তাতে আমি বিস্মিত হইনি ।
গতকাল রাতে রাস্তায় একটা মানিব্যাগ খুজে পেয়েছিলাম ।
ওখানে ৩ হাজার টাকা ছিল। ভেবেছিলাম টাকাটা দিয়ে ব্যাঙ্কে একটা একাউণ্ট খুলব ।
চিন্তাটা বাদ দিলাম। ছেলেটার হাতে ৩ হাজার টাকা দিয়ে বাড়ি চলে যেতে বললাম ।
ঐ কাস্টমার, সিনিয়র ওয়েটার আর ঐ ম্যানেজার আমার দিকে ফ্যালফ্যাল করে তাকিয়ে রইল ।
এই মুহূর্তে নিশ্চিত তারা আমাকে মহাপুরুষ টাইপের মানুষ মনে করছে ।
ছেলেটাও হয়ত আমাকে ফেরেশতা টেরেশতা মনে করছে ।
গুটি গুটি পায়ে ছেলেটা হোটেল ছেড়ে বাইরে চলে গেল।
আমার বরং লাভই হল। আমার বদান্যতায় বিস্মিত হয়ে ম্যানেজার আমার খাবারের বিল রাখল না ।
যাক ।
দুই নম্বর ওয়েতে পাওয়া কিছু টাকা দিয়ে জনম দুঃখী একটা ছেলের সাহায্য করতে পারলাম।
খারাপ না ।
কোথায় আগরতলা আর কোথায় চৌকির তলা ?
তাই আপাতত দুধের স্বাদ ঘোলে মেটাতে দিনে দুইবেলা আমি হোটেল আফতাবে গিয়ে খাওয়া দাওয়ার কাজ সারি ।
এখানকার রান্নাটা আমার মায়ের রান্নার প্রায় কাছাকাছি , কিন্তু সমতুল্য না ।
একদিন দুপুরে আফতাবে বসে ভুনা খিচুড়ি খাচ্ছি । বাইরে টিপটিপ বৃ...ষ্টি পড়ছে । কাচের জানালা দিয়ে বৃষ্টি দেখছি আর খিচুড়ি গিলছি । বৃষ্টিময় দিনে ভুনা খিচুড়ি খাওয়া আর স্বর্গে বসে বেহেস্তি খানা খাওয়া তো একই কথা ।
লক্ষ্য করলাম আমার পাশের টেবিলের কাস্টমার চটাস করে ছোট ওয়েটার ছেলেটাকে কষিয়ে থাপ্পর দিল ।
তরকারির বাটি টেবিলে রাখার সময় ছেলেটার হাত থেকে তরকারির বাটিটা ওই কাস্টমারের কোলে পড়ে যায় ।
ফলশ্রুতিতে গরম ঝোলের তপ্ত নিঃশ্বাসে মোস্ট প্রবাবলি তার অজ্ঞাত(!) কোন অঙ্গ সাময়িকভাবে আহত হয় !
চিৎকার চেঁচামেচি করে লোকটা সিনিয়র ওয়েটারকে ডাকল ।
সাতপাঁচ না ভেবে সিনিয়র ওয়েটারটা ওই ছেলেটাকে সজোরে ধাক্কা মারল । ধাক্কা খেয়ে ছেলেটা টেবিলে আছড়ে পড়ল ।
ফলশ্রুতিতে টেবিলে রাখা দুটো গ্লাস মেঝেতে পড়ে ভেঙ্গে গেল ।
অপমান , অভিমান , রাগ কিংবা হতাশায় ছেলেটার চোখ টকটকে লাল হয়ে গেল, লক্ষ্য করলাম ।
কাচ ভাঙ্গার শব্দে ক্যাশে বসা ম্যানেজারের টনক নড়ল ।
তৎক্ষণাৎ ঘটনাস্থলে গিয়ে ছেলেটাকে আরো দুটো থাপ্পর মেরে সে গ্লাস ভাঙ্গার প্রতিশোধ নিল ।
ছেলেটা চোখের কান্না আর আটকাল না।
লক্ষ্য করলাম ছেলেটার গাল বেয়ে টপটপ করে অশ্রু গড়িয়ে পড়ছে ।
আশেপাশের সব কাস্টমার ঘটনাটা সিনেমার মত দেখল আর গপগপ করে খাবার গিলল ।
সিনেমা দেখতে আমার খারাপ লাগে না , কিন্তু বাস্তবতার এই নিষ্ঠুর সিনেমা দেখে আমি কষ্ট পেলাম ।
হাত না ধুয়েই ছেলেটার কাছে গেলাম ।
জানলাম ছেলেটার নাম কাজল ।
জীবনের রঙ , স্বপ্নের রঙ কাজল কালো যার !
ছেলেটার হাত ধরে আমি চমকে উঠলাম ।
ভীষণ জ্বর ছেলেটার । মনে হল ১০২ ডিগ্রিরও উপরে ।
ভয়াবহ জ্বরে সে কাঁপছিল , তাই তার হাত থেকে গরম তরকারির বাটিটা পড়ে যায় ।
অবশ্য এসব ফকির মিসকিনদের জ্বরে কার কি আসে যায় ?
বরং , এদেরকে চড় থাপ্পর মেরে যদি একটু মজা পাওয়া যায়, তাহলে ক্ষতি কি ?
তাই পাবলিক তাকে যে চড় থাপ্পর মারল, তাতে আমি বিস্মিত হইনি ।
গতকাল রাতে রাস্তায় একটা মানিব্যাগ খুজে পেয়েছিলাম ।
ওখানে ৩ হাজার টাকা ছিল। ভেবেছিলাম টাকাটা দিয়ে ব্যাঙ্কে একটা একাউণ্ট খুলব ।
চিন্তাটা বাদ দিলাম। ছেলেটার হাতে ৩ হাজার টাকা দিয়ে বাড়ি চলে যেতে বললাম ।
ঐ কাস্টমার, সিনিয়র ওয়েটার আর ঐ ম্যানেজার আমার দিকে ফ্যালফ্যাল করে তাকিয়ে রইল ।
এই মুহূর্তে নিশ্চিত তারা আমাকে মহাপুরুষ টাইপের মানুষ মনে করছে ।
ছেলেটাও হয়ত আমাকে ফেরেশতা টেরেশতা মনে করছে ।
গুটি গুটি পায়ে ছেলেটা হোটেল ছেড়ে বাইরে চলে গেল।
আমার বরং লাভই হল। আমার বদান্যতায় বিস্মিত হয়ে ম্যানেজার আমার খাবারের বিল রাখল না ।
যাক ।
দুই নম্বর ওয়েতে পাওয়া কিছু টাকা দিয়ে জনম দুঃখী একটা ছেলের সাহায্য করতে পারলাম।
খারাপ না ।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন
Ei Golpo Gulo Pore Bastob Jibone Keo Practice Korte Jaben Na, Moja Nin Sudhu"
Ja khusi likhun,kintu lekhok ke ukti kore kono karap comment korben na,eta sob patoker kache onurodh,kono other site link post korben na,tahole coment publish kora hobe na...................